সূচকঃ প্রথমেই সাধারন কিছু বিষয় আপনাকে বুঝতে হবে, আর তা হচ্ছে একজন মানুষকে কখনই কয়েকটি শব্দের মন্ত্র উচ্চারন করে বা তাবিজ গলায় ঝুলিয়ে বশ/নিজের আয়ত্বে আনা সম্ভব নয়। হ্যা এটা তার দ্বারাই সম্ভব যারা কথিত সিদ্ধ পূরুষ, পেশাদার তান্ত্রিক, আধ্যাত্মিক শক্তি প্রাপ্ত ব্যক্তি কিংবা মন্ত্র বিদ্যায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত । অন্যান্য সাধারন ব্যক্তির ক্ষেত্রে কেবল’ই অনর্থক সময় ও শ্রমের অপচয় বৈ কিছু নয়। বর্তমান সময়ে অনলাইন মিডিয়ায় যে সকল মন্ত্র, তাবিজ, নিয়মাবলী প্রচার করা হচ্ছে তা নিছক’ই ভন্ডামী ছাড়া কিছুই নয়, এই বিষয়গুলো প্রধানত কিছু কপট শ্রেনীর মানুষ যেমন ব্যবসার জন্য অনর্থক কিছু তন্ত্র/মন্ত্র লিখে বই বিক্রি করছে, তেমনি কিছু তান্ত্রিক বিষয়ে অজ্ঞ বালক/ব্যক্তি এইগুলোই ক্রয় করে অনলাইনে ছেড়ে দিচ্ছে, আবার সেই বিষয়গুলোই এক শ্রেনীর হতাষাগ্রস্ত নিরুপায় মানুষ সত্যি ভেবে অর্থ খরচ করে সময়, শ্রম, বিশ্বাস নষ্ট করছে। আমরা এখানে আজ তান্ত্রিকএকটি প্রক্রিয়ার বিবরনী দিচ্ছি যা দ্বারা হয়তো আপনি উপকৃত হবেন। তবে অবশ্যই একজন সত্যিকার তান্ত্রিকের অনুমতি কিংবা তত্বাবধানে হলে শতভাগ নিশ্চিত আপনি সফল হবেন।
বিষয়ঃ আমরা যে বিষয়টি আজ আলোচনা করবো তা বশীকরণ বিষয়, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি ছেলে বা মেয়েকে অপর লিঙ্গের প্রতি মাত্রারিক্ত আর্কষিত করতে বা কাঙ্খীত ব্যক্তির জন্য মনের মাঝে অত্যান্ত অকুলতা ব্যকুলতা সৃষ্টি করতে পারবেন। সাধারন ভাবে যখন কোন মেয়ে কোন পুরুষকে কিংবা কোন পূরুষ কোন মেয়েকে খুবই পছন্দ করে, তাকে পেতে চায়, তাকে বিয়ে করে নিজের জীবন সঙ্গি করতে চায় অথচ সেই মেয়ে বা পুরুষ অপর পক্ষকে গুরুত্ব দেয়না, পাত্তা দেয় না। এমন ক্ষেত্রেই এই প্রয়োগটি প্রযোজ্য।
উপকরণঃ
- একটি এমন ঘর যে ঘরে সাধারন ভাবে কারো যাওয়া আসা নেই।
- আপনার নিজ হাতের মাপে তিন হাত এক রঙ্গা দেশি সিল্কের কাপড়।
- শ্বশান বা কবরস্থানে জন্মানো বেল গাছের খুব পুরনো তিনটি কাটা।
- ৭ টি এক রঙ্গের মাঝারি মোমবাতি।
- যে স্থানে অধিকাংশ সময় কুকুর শুয়ে থাকে সেই স্থানের কিছু মাটি।
- মেয়ে বা ছেলে যাকে বশ করতে চাইছেন সে যে বাড়ীতে থাকে সেই বাড়ীর কিছু মাটি।
- ১০০ গ্রাম চামেলী তৈল। ( যে কোন বড় মুদির দোকানেই পাওয়া যায়)
- কিঞ্চিৎ মেটে সিদুঁর।
- কিছু কর্পূর।
- আগড়বাতি।
- একটি মাটির প্রদিপ।
দিনঃ তান্ত্রিক কাজের জন্য সঠিক দিন নির্বাচন খুব’ই গুরুত্বপূর্ণ, সাধারন ভাবে শুক্ল পক্ষ ছাড়া বশীকরণের কোন কাজ ফলপ্রসু হয় না। শুক্লপক্ষ হচ্ছে নতুন চাঁদ উঠার পর হতে পূর্নিমা পর্যন্ত।
সময়ঃ যদিও ব্যক্তি বিশেষে সময় ভিন্ন হয় তবে এই কাজটির জন্য রাতের মধ্যোভাগ শ্রেষ্ঠ সময় ধরা হয়।
জপ মন্ত্রঃ এখানে মন্ত্রটি দেওয়া সমুচিন মনে হচ্ছে না, আপনারা যারা কাজ করতে আগ্রহী তেনারা এখানে ক্লিক করুন, নতুবা আগামী কালকেই হাজার হাজার কপি পেষ্ট হয়ে যাবে।
নিয়মাবলীঃ সর্বপ্রথম সঠিক ভাবে সকল উপকরণ গুলি জোগার করুন। শুক্লপক্ষের প্রথম রবি কিংবা বৃহষ্পতিবার সকালে গোসল সেরে উক্ত মাটি দুই ধরনের নিয়ে একটু একটু পানি দিয়ে সেগুলো মন্ড তৈরী করুন যাতে সেই মাটির মন্ড দিয়ে একটি মানুষ আকৃতির পুতুল তৈরী করা সম্ভব হয়। সমস্ত মাটির মন্ড দিয়ে একটি পুতুল তৈরী করুন, যাকে বশ করবেন সে যদি পুরুষ হয় তবে পুরুষ যদি মহিলা হয় তবে মহিলার গড়ন দেওয়ার চেষ্টা করুন, কাপড়টির এক টুকরো অংশ কেটে নিয়ে তাতে আকাঙ্খীত ব্যক্তির নাম ও নিচে তার মাতার নাম, আপনার স্বীয় রক্ত দিয়ে লিখুন এবার কাপড়ের টুকরোটি ছোট পুটলি করে নারী পুতুল হলে তার যৌনাঙ্গের ভিতর, পূরুষ হলে তার বুকের ভিতর ঢুকিয়ে মাটি সমান করে দিন যাতে বাহির হতে পুতুলটি দেখলে বোঝা না যায়।। এবার বেল গাছের কাটা একটি হাতে নিয়ে সেই মন্ত্রটি ২১ বার উচ্চারন করে বেল কাটার উপর ফু দিন এবং প্রথমে তার বুকের বাম পাশে গেথে দিন। পূনরায় ২১ বার মন্ত্র উচ্চারন করে আর একটি কাটায় ফু দিয়ে তার বাম চোখে ঢুকিয়ে দিন। এরপর শেষ কাটায় মন্ত্রপুত করে ডান চোখে ঢুকিয়ে দিন। হাতে কিছুটা সিদূঁর নিয়ে তাতেও ২১ বার মন্ত্র উচ্চারন করে ফু দিয়ে তার কপাল মাথায় লাগিয়ে দিন। এবার সেটি আপনার সেই নির্জন ঘরের পূর্ব পাশের দেওয়ালের নিকট উক্ত এক রঙ্গা কাপড়টি ত্রিকোন করে ভাঁজ করে বিছিয়ে তাতে রাখুন এবংপুতুল দার করিয়ে রেখে কাপড়টি নিচ থেকে উপড়ে ঢেকে দিন। প্রথমে ৭ দিন নির্জন সেই ঘরে একা একা রাত্রিবেলা পূর্বমুখে মেঝেতে একটি কাপড় বিছিয়ে বসুন, যেনো পুতুলটি আপনার সামনে থাকে, পুতুলটির কাপড় সরিয়ে দিন যেনো সেটি আপনার দিকে মুখ করা অবস্থায় থাকে। একটি মোমবাতী জালিয়ে দিন, আগড়বাতী জালান ঘরের বিভিন্ন স্থানে দিন, কিছু কর্পূর ঘরে ছিটিয়ে দিন। মোমবাতিটি এমন স্থানে রাখবেন যেনো আপনার ও পুতুলটির ঠিক মাঝখানে থাকে। আলতো করে চোখ বন্ধ করে জপমন্ত্রটি এমন ভাবে উচ্চারন করে পড়ুন যেনো অন্তত্য নিজ কানে মন্ত্র শুনতে পান, মন্ত্র জপ করার সময় কল্পনায় আপনার কাঙ্খীত মানুষটিকে ভাবুন। কিছুক্ষণ চোখ খুলে মোমবাতীর আগুনের দিকে তাকিয়েও মন্ত্র পড়ুন। কল্পনা করুন আগুনের মাঝে তার অন্তর আপনার জন্য জ্বলে যাচ্ছে, সে ছটফট করছে। এভাবে পড়তে পড়তে যখন মোমবাতীর এক তৃতীয়াংশ পুড়ে শেষ হবে তখন মোমবাতী নিভিয়ে দিন, এবং মাটির প্রদিপে কিছুটা চামেলীর তৈল দিয়ে কাপড়ের শলিতা দিয়ে প্রদিপ জালিয়ে শুয়ে পড়ুন এবং ঘুমিয়ে যান। সকালে উঠেই প্রথমে পুতুলটির দিকে তাকাবেন এবং সেটির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিবেন। এভাবে পরপর ৭দিন মন্ত্র পড়তে হবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাষ পুতুলটি পরিপূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বেই আপনার কাঙ্খীত ব্যক্তি আপনার প্রতি অনুরক্ত হয়ে যাবে। আপনার নিকট চলে আসবে। আপনার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ব্যকুল হয়ে যাবে। যখন বা যেদিন’ই সে আপনার নিকট নতি স্বিকার করবে সেদিন’ই সেই পুতুল সহ সকল সরঞ্জাম কাপড়ে জড়িয়ে কোন নদিতে ফেলে আসবেন।
বিদ্যা বিবরনীঃ ত্রিকালদর্শী গুরুজী সুব্রত গুহ (ভারত)