আমরা ত্রাটক; Psychic Power; অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা ইত্যাদির বিষয় ধারাবাহিক ভাবে আলোচলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি-
আশা করছি আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন, আসলে আমরা কি জানি এ বিষয়ে আর বর্তমান বিজ্ঞান কি বলে পূর্বযুগের যে গল্প কাহিনী আমরা প্রতিনিয়ত শুনে আসছি বা বর্তমানেও কিছু কিছু দেখি আসলে কি তার কোন সত্যতা রয়েছে নাকি সবকিছুই ধাপ্পাবাজি !!!
আমরা যারা বর্তমানে নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবি করি তাদের মাঝে অধিকাংশ্যই তন্ত্র মন্ত্র অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা, সাইকিক পাওয়ার ইত্যাদিকে মোটেও পাত্তা দেই না এবং এ বিষয়গুলো ভুয়া বলেই উড়িয়ে দেই, কিন্তু বর্তমানে স্যটেলাইটের যুগে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া প্রতিটি খবর আমাদের নখদর্পনে, আমরা আজ যানতে পারি কখন কোথায় কি ভাবে কি ঘটছে কেন ঘটছে তার পূঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। আমরা যারা নিয়মিত ভাবে ডিসকোভারী, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলগুলো রাতের দিকে দেখি তবে অনেক অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা তন্ত্র মন্ত্রের প্রকপ ও তার প্রভাব সর্ম্পক্যে জানতে পারি সেই সাথে এ্যলিয়ন প্রেতাত্ত্বা বা অশরীরি সর্ম্পকেও বিস্তারিত জানতে পারি। আসলে যে এ বিষয়গুলো নিছক ছেলে খেলা বা চোখের ভুল নয় বা গাল গল্প নয় তা প্রমানের জন্য এখানে সম্পূর্ণ ডকুমেন্টরি মাঝে মাঝে দেখানো হয়। পশ্চিমা বিশ্বের ভুডো বা টাবু সর্ম্পকেও বিস্তারিত তথ্য এখানে নিয়মিত দেখানো হয়। আসলে এসব কি ? আমাদের এবারের প্রয়াস এই মিরাকল বিষয়ের উপর থেকে কিছু পর্দা তুলে সর্বসাধরনের জ্ঞ্যাত করানো। সত্য চিরন্তন মিথ্যার দৌর খনস্থায়ী কোন মিথ্যাই এক নাগারে অধিক দিন স্থায়ী হতে পারে না, তাহলে তান্ত্রিক উপাচার কি ভাবে মিথ্যা হতে পারি যা যুগ যুগ ধরে সমাজে তার স্ব-মহীমায় টিকে আছে। একথা সত্য কিছু অসাধু সমাজের কিট কুলাঙ্গার তাদের নিচমানুষিকতার জন্য যারা তান্ত্রিকতার নামে সাধারন জনগনের সাথে প্রতারনা করে তাদের মনে বিভ্রান্তি ও অনাস্থা অবিশ্বাষের বীজ বপন করেছে। তবে আমাদের এটাও মানতে হবে কয়লার মাঝেই হিরকের অবস্থান, এমন হাজারো তান্ত্রিক সিদ্ধ পুরুষ সাধুজন এখনো রয়েছে যাদের নিরলস সেবা সাধনা দ্বারা সাধারন মানুষ আজও উপকৃত হয়ে আসছে। আজও মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করে আছে।
সকল সাধক কিন্তু সমাজের জন্য সুভকর নয় কিছু সাধক রয়েছে যারা নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অন্যের ক্ষতি সাধন করে, অন্যের জীবনকে ধ্বংস করে যে কারনেেই আমাদের সমাজে তান্ত্রিকতার কদর কমে গেছে এবং লোক চক্ষুর আড়ালে সকল কর্মকান্ড করে থাকে।
তান্ত্রিকতার গোপনিয়তাই শক্তি, আজও কোন সিদ্ধ পুরুষ তার শক্তি জনসম্মুখ্যে প্রকাশ করে না, তবে আমাদের দূরদৃষ্টি সেসকল গুনিজনদের কাজ সিদ্ধ পুরুষদের মহিমা ঠিকই দেখতে পায়। এখনো সমাজের প্রতিটি পরতে পরতে তার নমুনা দেখতে পাই। ডিসকোভারী/ন্যাশনাল জিওগ্রাফী চ্যনেলগুলোতেও দেখতে পাই কয়েকদিন আগেও একটি সম্পূর্ণ দুরারোগ্য ব্যধি যা বিজ্ঞানের যুক্তিতে কোন ভাবেই উপসম হবার নয় তা থেকে একজন নারী একজন সিদ্ধ পূরুষের স্বার্নিদ্ধে এসে অকল্পনীয় ভাবে সেরে উঠেছে সম্পূর্ণ রুপে রোগ মুক্ত হয়েছে যা বিস্তারিত ভাবেই দেখানো হলো, এমনি হাজারো ঘটনা আমাদের সমাজেই আমারা প্রতিনিয়ত অবলোকন করছি।। অথচ আমরাই জনসম্মূখ্যে বলে বেরাই এই সকল কিছু ভুয়া মিথ্যা। কিন্তু কেন ? চলবে…..