মন্ত্রগুরু
আয়ুর্বেদ (কানের রোগ)
v আদার রস-চার মাষা, মধু-দুই মাষা, সৈন্ধব লবন-এক রতি এবং তিল তৈল-দুই মাষা। এই সমস্ত দ্রব্য একত্রে মিশ্রিত করিয়া ঈষদোষ্ণ গরম করতঃ তা যদি কানের ভিতর দেওয়া যায় তবে কর্ণ শূল, কর্ণনাদ, বধিরতা জনিত কর্ণ বেদনা ভলো হয়ে যায়।।
v কয়েত বেলের রস, ট্যাবা লেবুর রস ও আদার রস, ঈষদোষ্ণ উত্তাপ দিয়ে কানের ভিতর দিলে কানের যে বেদনা ভালো হয়।
v মূলার রস কানের ভিতর কয়েক ফোটা করে দিলে কানের ব্যথা ভালো হয়।
v সৈন্ধব লবন ও হালকা গরম ছাগমূত্র একত্রে কানের মধ্যে দিলে তীব্র কানের ব্যথা, ভোঁ ভোঁ শব্দ ও ক্লেদস্রাব নিবারিত হয়।
v হিঙ্গু, ধনে ও শুঁঠ, একত্রে সরিশার তৈল দ্বারা পাক করিয়া কানের ভিতর কয়েক ফোটা দিলে অবশ্যই কানের ব্যথা ভালো হয়।
v আকন্দের পীতবর্ণের পাকা পাতায় ঘৃত মাখাইয়া অগ্নিতে ঝলসাইবে, এবং রস নিংড়াইয়া অল্প গরম থাকিতে কানের ভিতর দিবে। ইহাতে কানের ব্যথা ও যন্ত্রনা অবশ্যই দুর হইবে।।
v সাচিক্ষার চূর্ন, ট্যাবালেবুর রসে অল্পুত করিয়া তাদ্বারা কানের ভিতর কয়েক দিলে কানের পূজ, যন্ত্রনা, ও ব্যথা দুর হয়।
v ঈশলাঙ্গলা ও হুড়হুড়ের রসে ত্রিকুট চূর্ন মিশ্রিত করিয়া তা যদি কানের ভিতর কয়েক ফোটা দেওয়া হয় তবে কানের কৃমি ভালো হয়ে যায়।
v মালতি গাছের পাতার রস, মধু সহযোগে অথবা গোমূত্র সহযোগে কানে দিলে অবশ্যই কানপচা ভালো হয়।
v হরিতাল, গোমূত্রে ঘষিয়া তা যদি কানের মধ্যে দেওয়া হয় তবে কান পঁচা ভালো হয়ে যায়।
v আম, জাম, মৌল ও বট ইহাদের পাত্রের সহিত তৈল পাক করিয়া কানের ভিতর দিলে কান পাকা ভালো হয়।
v জাতিপত্রের রসের সহিত তৈলপাক করিয়া কর্ণে দিলে দীর্ঘকালের কান পঁচা ও কর্ণস্রাব ভালো হয়ে যায়।।