মন্ত্রগুরু
অদৃশ্য হইবার প্রনালীঃ (পরিক্ষীত নয়)
Ø একটি খঞ্জন পাখি বা খঞ্জরীট পাখি ফাল্গুন মাসের দিকে সংগ্রহ করিয়া আনিবে। অতঃপর পাখিটি পিঞ্জিরার মধ্যে অন্তত ভাদ্রমাস নাগাদ পালন করিতে হইবে। এই সময়ের মধ্যে পাখিটির মাথায় ঝুঁটি গজাইবে। উক্ত ঝুঁটি গজাইলে পাখিটিকে পিঞ্জিরার মধ্যে দেখা যাইবে না। কিন্তু পাখিটি পিঞ্জিরার মধ্যেই থাকে। কিছুদিন বা কিছুসময় অপেক্ষা করার পর যখন পাখিটিকে পূনরায় পিঞ্জিরার মধ্যে দেখিতে পাইবে, তখন দেখিবে যে পাখিটির ঝুঁটি তার মাথা থেকে খসিয়া পরিয়াছে, তারপর সেই ঝুঁটির লোম/চুলগুলো সজত্নে সংগ্রহ করিয়া ত্রিলৌহের মাদুলিতে ভড়িয়া মাথায় বা মুখের মধ্যে নিলে ধারন কারীকে কেহ দেখিতে পায় না।।
Ø লাউ এর খোলস বা তুম্বার মধ্যে এক তোলা পারা রাখিয়া ঐ তুম্বা শিলোধকে রাখিয়া দিবে, ক্রমে ক্রমে ঐ পারা গুলিতে পরিনত হইবে। পরে ঐ গুলি মুখের মধ্যে নিলেই ব্যক্তি বিশেষে অদৃশ্য হইতে পারে।
Ø জাম গাছের পর গাছা যদি কোন ব্যক্তি তান্ত্রিক বিধি মত ভরনী নক্ষত্রে সংগ্রহ করিয়া সংগে ধারন করে তবে সে অদৃশ্য হইবার ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়।
Ø কাঁক ও পেঁচকের পালক এবং নিজের কেশ এই তিনটি বস্তু একত্র করিয়া ধুমের শিখায় পুড়িয়া বা দগ্ধ করিয়া চূর্ন করিতে হইবে। এবার তার সাথে আঙ্কুলী তৈল মিশাইয়া ছোট বলের মত গুটিকা বানাইবে এখন তাকে ত্রিলৌহ দ্বারা পেঁচাইয়া বা বেষ্টন করিয়া মাথাতে রাখিলে সংগে সংগে অদৃশ্য হইয়া যাইবে।
Ø চন্দ্র গ্রহন কালে শ্বেত অপরাজিতার শিকড় তুলিয়া আনিবে এবং বেড়ালা ও মধুর সহিত মর্দন পূর্বক গুটিকা বানাইবে সেই গুটিকা ত্রিলৌহ দ্বারা বেষ্টন করিয়া মুখে বা হাতে ধারন করিলে সেই ব্যক্তি অদৃশ্য হইতে পারে।
Ø নিখুত সাদা বা নিখুত কালো বর্নের বিড়ালের জরায়ু চূর্ন করিয়া তা ত্রিলৌহ দ্বারা বেষ্টন করিয়া মাথার উপর রাখিলে সেই ব্যক্তি তৎক্ষনাৎ অদৃশ্য হইতে পারে।
বিঃদ্রঃ উপরে উল্লেক্ষিত তন্ত্রগুলো কখনও পরিক্ষা করে দেখা হয় নি। শুধু কেতাবের মধ্যে পাওয়া বিধায় এখানে উল্লেখ্য করা হল। আপনারা যদি পরিক্ষা করতে চান তবে অবশ্যই তার পুর্বে এর বিষয় ভালোভাবে বুঝে, গুরুর অনুমতি নিয়ে কাজে হাত দিবেন।